আগেই বলে নিচ্ছি এই সফটওয়্যার এর উপর আলমাস একটা টিউন করেছিল। সম্ভবত হ্যাকিং বিষয়ক ওর শেষ টিউন ছিল এটি। সফটওয়্যারটির ব্যবহার বিধি বা টিউটোরিয়াল ইংরেজীতে ছিল, সম্ভবত সময়ের কারনে ও এটির বাংলা টিউটোরিয়াল করতে পারেনি। তাই এটির বেশিরভাগ অপশন সম্ভবত সবার কাছে অজানা ছিল। কারন একটি অস্ত্র পেলেই তো হবে না তার ব্যবহার বিধি জানতে হবে।অন্য সবার কথা বলতে পারিনা বাট আমি ইংরাজীতে খুবই বিলাইয়ান্ট মানে অবস্থা খারাপ। তারপরও অনেক কস্ট করে সফটওয়্যারটির একটি মোটামটি সবার বুঝার মত একটি বাংলা টিউটোরিয়াল বানিয়ে ফেললাম কারন ভাবলাম টিটিতে আমার মত আরো বিলাইয়ান্ট পাবলিক থাকলেও থাকতে পারে, মুলত তাদের জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার এই টিউনটির ব্যাপারে আলমাসের সাথে কথা হয়েছে। এবং ওর অনুমুতি নিয়েই এই রিটিউনটি করা।
আমাদের অনেকের মাঝে একটা বদ্ধমুল ধারনা আছে যে হ্যাকিং জিনিশ টা খুব খারাপ এবং আকামলা দের কাজ। যাদের এই বদ্ধমুল ধারনা তাদের সাথে আমি যুদ্ধ ঘোষনা করছি। প্রত্যেকটা জিনিশেরই একটা ভাল এবং খারাপ দিক আছে। আমরা স্বভাবতই ভাল জিনিশটা জানবো এবং তার সাথে খারাপ দিকটা জানা ভাল কারন ওই জিনিশের খারাপ দিকটা জানতে হবে আমাদের নিরাপত্তার জন্য। একটা উদাহরন দিয়ে বলি, আগে থেকেই হ্যাকিং এর উপর আমার খুব আগ্রহ। টিটিতে আসার আগে আমি হ্যাকিং বিষয়ক কোন কিছুই জানতাম না। পিশিং এর কথাই ধরি। আগে আমি পিশিং সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এখন জানি এবং পিশিং হ্যাক করতে পারি। তাই আগে আমার অ্যাকাউন্ট যে কোন সময় পিশিং হ্যাক হতে পারত কিন্তু এটা এখন সম্ভব না কারন পিশিং URL সম্পর্কে আমার এখন পুর্ণ ধারনা আছে। তাই আমি যদি হ্যাকিং সম্পর্কে কিছুই না জানি তবে নিজেকে কিভাবে রক্ষা করবো? ঠিক এই কারনেই আমাদের দেশি ওয়েবসাইট গুলো প্রতিনিয়ত বিদেশি হ্যাকার দ্বারা আক্রান্ত হয়। আমাদের দুংখ যে আমাদের কিছু প্রফেশনাল ভাল হ্যাকার নাই। ইউরোপ আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ ডলার বেতন দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানী হ্যাকার রাখে তাদের কোম্পানীর নিরাপত্তার জন্য। তাই আমি মনে করি আমাদের দেশের প্রত্যেকটা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হ্যাকিং সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান থাকা উচিত। তবে হ্যাঁ আমাদের সবাইকে নৈতিকভাবে সবল থাকতে হবে যেন এটির ব্যাড ইউজ না করি। কারো ক্ষতি করার জন্য হ্যাকিং কাজে লাগানো যাবেনা। আসলে যদি ঠিক ঠাক বুঝা যায় তবে হ্যাকিং জিনিশটা অত্যান্ত মজার এবং নেশার মত, একটু জানলে আরো জানতে ইচ্ছা করে। আলমাসের ভাষায় হ্যাকিং কোন বাহাদূরি করার জিনিষ নয় বরং শিক্ষা নেবার জিনিষ। অনেক কথা বললাম, চলুন আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাই মুল টিউনে।
“দয়া করে কারো ক্ষতির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন না”
ProRat v1.9 একটি অত্যান্ত শক্তিশালী প্রোফেশনাল হ্যাকিং সফটওয়্যার। এটি দ্বারা খুব সহযেই অন্যের পিসির নিয়ন্ত্রন করা এবং তার পিসির সমস্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে দেওয়া এমনকি তার পিসির সকল ড্রাইভ ফরমেট করা সম্ভব এবং আপনি তা করতে পারবেন আপনার পিসি থেকে। আর কি কি করতে পারবেন তা আমি বিস্তারিত বলছি।
এটি নিয়ে কাজ করার আগে সবার প্রথমে আপনার পিসির এন্টিভাইরাসের প্রোটেকশন পজ বা টোটালি অফ করুন।
এন্টিভাইরাসের প্রোটেকশন পজ বা টোটালি অফ করার কথা বলা হয়েছে এই কারনে, কারন এন্টিভাইরাস এটিকে হারমফুল সফটওয়্যার হিসাবে ডিটেক্ট করবে এবং আপনাকে কাজ করতে দিবেনা।
তারপর ডাউনলোড করে নিন “Pro rat” সফটওয়্যারটি।
ডাইনলোড কৃত ফাইলটি Extract করুন। পেয়ে যাবেন মুল সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটি নিয়ে একটু সাবধানে কাজ করতে হবে, কারন কিছু না জেনে কাজ করলে আপনার নিজের পিসিরই ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
এটি দিয়ে অন্যের পিসি হ্যাক করা হয় একটি ট্রোজান সারভার সৃস্টির মাধ্যমে। এই সফটওয়্যার দিয়ে পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী আপনি একটি ট্রোজান সারভার সৃস্টি করবেন এবং অন্যের পিসির নিয়ন্ত্রন আপনি পেতে চাইলে আপনাকে এই ট্রোজান সারভারটিকে তার পিসিতে যেকোন মুল্যে রান করাতে হবে। প্রথমে ProRat.exe ফাইলটি চালু করুন।
১. মেইন মেনু এটি।
২. Create ক্লিক করুন এবং “Create ProRat server (342kbayt)” সিলেক্ট করুন।
৩. উপরের মত একটি মেনু আসবে, Notification ক্লিক করুন। এখানে ওনেক গুলো ফিল্ড দেখতে পাচ্ছেন, সবগুলাই ইম্পরটেন্ট।
Notifications
(১) Use pro connective notification এ প্রথমেই আপনার আইপি সেট করুন, কারন এর মাধ্যমেই prorat আপনার সাথে ভিকটিম এর যোগাযোগ করাবে। আইপি সেট করতে ক্ষুদ্র লাল এরো যুক্ত বাটনটি ক্লিক করুন (কারসর দ্বারা চিহ্নিত), সফটওয়্যারটি অটোমেটিক ভাবে আপনার আইপি সেট করে নেবে।
(২) “Mail notification” এ আপনার ইমেইল আইডি সেট করুন, এটির মাধ্যমে সফটওয়্যারটি ইমেইল এর মাধ্যমে আপনাকে ভিকটিমের আক্রান্ত হওয়ার এবং তার পিসির বিভিন্য গুরুত্তপুর্ন তথ্য দিবে। প্রথমে Test বাটন ক্লিক করুন আর দেখুন notification মেইল ঠিক মত আপনার ইমেইল আইডিতে আসছে কিনা। টেস্ট মেইলটি সম্ভবত আপনার Spam ফোল্ডার এ জমা হবে।ওখান থাকে মেইলটি white list এ নিয়ে নিন। তারপর থেকে ওই মেইল আইডি থেকে সকল notification মেইল আপনার মেইন ইনবক্সে জমা হবে।
(৩) “ICQ pager notification” ফিল্ডটি পুরন করতে ক্ষুদ্র লাল এরো যুক্ত বাটনটি ক্লিক করুন (কারসর দ্বারা চিহ্নিত), সফটওয়্যারটি অটোমেটিক ভাবে আপনার ICQ pager notification সেট করে নেবে।
(৪) “CGI Notification” ফিল্ডটি সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানেন তবে সেট করুন নয়তো ডিফল্ট রাখুন, কোন চেঞ্জ করার দরকার নাই। ব্যাস কমপ্লিট হয়ে গেল NOTIFICATION পার্ট।
৪. এটি হচ্ছে “General Settings” এখানেও ওনেক গুলো ফিল্ড দেখতে পাচ্ছেন।
General Settings
(১) “Server port” ডিফল্ট রাখুন,কোন চেঞ্জ করার দরকার নাই।
(২) “Server password” নিজের পছন্দমত দিন, ডিফল্ট হিসাবে 123456 দেওয়া আছে তবে অন্য Prorat ব্যবহারকারীরা যাতে আপনার ভিকটিমকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারে সে জন্য নতুন পাসওয়ার্ড দেওয়া জরুরি।
(৩) পছন্দমত “Victim Name” সিলেক্ট করুন। এটা তেমন গুরুত্তপুর্ন না।
(৪) নিচে দেখবেন কতগুলো টিক বক্স আছে। এগুলো হল, আপনার তৈরিকৃত ট্রোজান সারভারটি ভিকটিমের পিসিতে কি কি তাণ্ডব চালাবে অর্থাৎ কি কি ক্ষতি করবে তার কমান্ড। আপনার পছন্দ অনুযায়ী তান্ডবলীলা সেট করে দিন।
৫. এখন আপনার তৈরিকৃত সারভারটিকে একটি ফাইলের সাথে বাইন্ড করতে হবে।
৬. বাইন্ডিং ফাইল হিসাবে যে কোন ইমেজ বা হাল্কা ফাইল ইউজ করা ভাল।
৭. “Server Extensions” সিলেক্ট করুন এবং আপনার ট্রোজান সারভার এর Extensions সিলেক্ট করে নিন। এক্ষেত্রে .Exe Extensions সিলেক্ট করা ভাল কারন এতে আপনি আইকন সাপোর্ট পাবেন, ফলে ভিকটিমকে ধোঁকা দেওয়া সহজ হবে।
৮. “Server Icon” থেকে আইকন সিলেক্ট করুন। আইকন সিলেক্টের ক্ষেত্রে একটু কৌশলী হোন যাতে ভিকটিমকে সহজে ধোকা দেওয়া যায়। যেমন আমি Love আইকন সিলেক্ট করেছি।
৯. “Create Server” ক্লিক করুন। তৈরি হয়ে যাবে আপনার ট্রোজান সারভার।
১০. ProRat এর ফোল্ডার এ দেখবেন Server.exe নামে একটি ফাইল ক্রিয়েট হয়েছে। এটিই আপনার কাংখিত ট্রোজান সারভার। ভুলেও এই সারভারটি আপনার পিসিতে রান করাবেন না। তাহলে আপনার পিসির সর্বনাশ হয়ে যাবে।
১১. কৌশল অনুযায়ী আইকন এর সাথে মিল রেখে সারভারটি রিনেম করুন, যেমন আমি লাভ এর সাথে মিল রেখে নাম দিয়েছি “Love Calculator”। মানে ফাইলটির চেহারা এমন করবেন যাতে এন্টিভাইরাস ছাড়া ভিকটিম যেন কোনমতেই বুঝতে না পারে যে এটি একটি ফাঁদ।
১২. ফাইলটিকে জিপ করে পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড করে ফেলুন, ডিফল্ট পাসওয়ার্ড হিসাবে ১২৩৪৫৬ সিলেক্ট করুন। সফটওয়্যার ছাড়া কোন জিপ ফাইল কে কিভাবে পাসওয়ার্ড দিতে হয় তা জানতে এই
টিউনটি দেখুন। মেইন সারভার ফাইলটাকে পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড জিপ ফাইল করা হল কারন এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো সাধারনত পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড আর্কাইভ সমুহ স্ক্যান করে না।
এবার চটকদার কিছু কথা লিখে জিপ ফাইলটিকে ইমেইল করে ভিকটিমের কাছে পাঠিয়ে দিন সাথে extract করার পাসওয়ার্ডটিও বলে দিন। যদি ভিকটিম ফাইলটি রান করে তবে ট্রোজান সারভারটি আপনার সেটকৃত কমান্ড অনুযায়ী তার পিসিতে তান্ডব লীলা চালাবে এবং তার ইন্টারনেট চালু থাকলে তার পুরো পিসির নিয়ন্ত্রন আপনার হাতে এনে দেবে। ভিকটিম আক্রান্ত হলে আপনার কাছে ইমেইল নোটিফিকেশন আসবে
১৩. “Connect” ক্লিক করুন।
১৪. আপনার তৈরিকৃত সারভার এর পাসওয়ার্ড দিয়ে OK করুন।
১৫. উপরের মত মেসেজ আসবে।
১৬.সফটওয়্যারটির বাম পাশের অপশন গুলো দ্বারা আপনি ভিকটিমের পিসির সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রন নিতে পারবেন এমনকি তার হার্ডড্রাইভ ফরমেট করতে পর্যন্ত পারবেন।
এই হচ্ছে মোটামুটি ProRat এর বাংলা টিউটোরিয়াল